প্রকৃতির ছদ্মবেশী প্রাণীরা…
ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডটকম:
আত্মরক্ষা এবং ছদ্মবেশ- প্রাণিজগতে এই দুটো শব্দ ব্যাপক পরিচিত ৷ প্রকৃতি সকল প্রাণীকেই তার নিজের মত করে আত্মরক্ষার সুযোগ আর নিজের খাবার যোগাড় করে নেয়ার উপযুক্ত যোগ্যতা দিয়েছে।
একটি সিংহ বা চিতা যদি নিজেকে বনের মাঝে লুকাতে না পারতো তাহলে কি সে সহজে তার খাদ্য যোগাড় করতে পারতো? আবার একটা প্রজাপতি বা ব্যাঙ যদি নিজেকে ঠিক মত লুকাতে না পারে তাহলে সে সহজেই অন্যের খাদ্যে পরিণত হয়ে যাবে।
তাই প্রকৃতি প্রায় প্রতিটি প্রাণীকেই দিয়েছে পরিবেশের সাথে নিজেকে মিশিয়ে নিয়ে লুকিয়ে থাকার একটা আশ্চর্য ক্ষমতা। । তবে বিভিন্ন সময়ে প্রাণীদের এই ছদ্মবেশ কেবল শিকার ও লুকানোর জন্যই নয়, আছে আরো উদ্দেশ্য…..
মুড বদলালে রঙ বদলায়
রং বদলানোর ক্ষেত্রে গিরগিটিদের বিশেষজ্ঞ বলা যেতে পারে৷ আগে ধারণা করা হতো অন্য প্রাণীদের হাত থেকে বাঁচতেই গিরগিটিরা রঙ বদল করে৷ কিন্তু সম্প্রতি জানা গেছে এই রং বদলানোর ব্যাপারটা নির্ভর করে গিরগিটির মুডের উপর৷ যেমন সে আক্রমণাত্মক হলে বা রেগে গেলে রং বদলায়৷
রঙের উজ্জ্বলতা কমে বাড়ে
সব প্রজাতির গিরগিটিরা সব ধরনের রং বদলাতে পারে না৷ যেটা করে তাহলো দিনের বিভিন্ন ভাগ অনুযায়ী নিজেদের রঙের উজ্জ্বলতা বাড়ায়-কমায়৷
শিকার ধরা
গিরগিটিরা খুব ভালোভাবে ছদ্মবেশ ধরে শিকারের জন্য গাছের উপর চুপ করে বসে অপেক্ষা করে৷ কোনো নড়াচড়া করে না৷ তারপর পোকামাকড় কাছে এলে লম্বা জিহ্বা দিয়ে খপ করে খেয়ে ফেলে৷
সাদা-কালো ডোরার কারণে একদল জেব্রা যখন মাঠে বসে থাকে তখন সিংহের দৃষ্টিবিভ্রম হয়৷ কেননা তখন পশুরাজ কোনো একটি প্রাণী দেখতে পান না৷
গাছের ডাল না পোকা!
ছদ্মবেশীদের মধ্যে অন্যতম এই শুঁয়োপোকাটি৷ এটি প্রজাপতি প্রজাতির৷ এটা দেখতে অনেকটা সরু কচি গাছের কাণ্ডের মতো৷ তাই গাছের উপর যখন এটি বসে তখন একে চেনার উপায় থাকে না৷
অনুকরণকারী অক্টোপাস
এটি একটি অনুকরণকারী অক্টোপাস, যা ‘কার্নিভাল স্কুইড’ নামে পরিচিত৷ সমুদ্রের তলদেশে এটি মুহূর্তে নিজের আকার ও রং পরিবর্তন করে ফেলতে পারে৷ যেমন সাপ, স্কুইড, শামুকের আকার ধারণ করতে পারে৷
অস্তিত্ব বোঝা দায়
মঙ্ক ফিশ এমনভাবে সমুদ্র তলদেশে থাকে যে বোঝাই যায় না এটার অস্তিত্ব৷ তাই মাছ শিকার খুবই সহজ হয়, অতর্কিতে পেছন থেকে মাছকে শিকার করে এরা।
প্রতিক্ষণ/এডি/পাভেল